The Single Best Strategy To Use For ব্যর্থ প্রেমের গল্প

এই এক বছর আগে মাম শুধু আমার ছিল কিন্তু এখন………এখন সে অন্য কারোর সম্পত্তি । যখন আমার বাড়ি থেকে অপমান করে মাম কে তাড়িয়ে দিয়েছিল তখন মাম কাঁদতে কাঁদতে নিজেকে শেষ করতে গেলে ওর ছোট বেলার বন্ধু শুভম ওকে বাঁচিয়েছিল। সেই খারাপ সময় আমি ওর পাশে থাকতে পারিনি কিন্তু শুভম ওর ভরসা হয়ে উঠেছিল। ওর বাড়ির লোকও শুভম কে খুব পছন্দ করত তাই এক কথায় জোর করেই কোন এক মন্দিরে গিয়ে মাম এর বাবা-মা , মামের সাথে শুভম এর বিয়ে দিয়ে দেয়।

রাতের খাবারের সময় আম্মাকে খুঁজতে খুঁজতে রান্নাঘরে হাজির হলাম। বড় মামি রান্নাঘরে কাজ করছিলেন। আমাকে ডেকে হাতে একটা বাটি ধরিয়ে দিয়ে বললেন,”যা তো মা,এই বাটিটা ওখানে তোর মামারা যেখানে খেতে বসেছে দিয়ে আয়।  মুরাদ আবার মাছ খায় না সেজন্য ওর জন্য একটু ডিম ভুনা করেছি ,দিয়ে আয়।”

মামাতো বোন শিউলি গাইল,”দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা বন্ধু চিরকাল ,,,রেললাইন বহে সমান্তরাল…”

আম্মু আমি রক্তিমের সাথে অনেক বড় অন্যায় করে ফেলেছি। সে কি আমাকে ক্ষমা করবে! ও কি আমায় ওর জীবনে আপন করে নেবে। আমি যে ওকে না দেখেই অনেক ভালোবেসে ফেলেছিলাম আম্মু। প্লিজ বলো না আম্মু সে কি আমার মেনে নেবে আম্মু বলোনা কি হলো আম্মু বলোনা । এই বলে দিশা ওর আম্মুকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে থাকে। তারপর হঠাৎ করে ওর চক্ষ চলে যায়’ ফ্লোরে পরে থাকা রক্তিমের দেয়া গিফটের বক্সটার দিকে। তাই সে তারা-তারি করে বক্সটা হাতে নেয়। এবং বক্সটা খোলে। আর খুলে যা প্রতিলিপি প্রেমের গল্প দেখে তা দেখে সাথে সাথে আবার চিত্কার করে কান্না শুরু করে দেয়। কারণ বক্সটার ভিতরে ছিলো রক্তিমের নিজের হাতে আঁকা দিশার একটা মিষ্টি হাসি মাখা ছবি । আর একটা চিঠি। দিশা চিঠিটা দেখে তারা-তারি করে হাতে নিয়ে পরতে শুরু করে তারপর’ চিঠিটা পড়া শেষ হওয়ার সাথে সাথেই চিঠিটা ফেলে দিয়ে দৌড়ে বাইরের দিকে চলে যায়। এদিকে হঠাৎ দিশাকে এভাবে দৌড়াতে দেখে সবাই অনেক অবাক হয়ে যায়। তাই তারাও রক্তিমের দেয়া চিঠিটা পরতে শুরু করে। চিঠিটা পড়া শেষ করার সাথে সাথে সবার চক্ষে পানি চলে আসে।

তা কেবল অনুভব করা যায়, বর্ণনা করা যায় না।

এদিকে রক্তিম চলে গেলে। আর দিশার বাবা-মা দিশার কাছে যায়। গিয়ে বলে….

“স্কুল লাইফের প্রথম দিন থেকেই স্কুলের শেষ দিনের কাউন্টডাউন শুরু হয়।”

ভ্যালেন্টাইন্স ডে এর দিন বাসায় সকালে বন্ধু মাসুদ এসেছিল। তার সাথে দেখা হয় দরজার সামনে। সে চিঠিসহ গোলাপের তোড়া দেয় আমায় গত বছর। স্কুল বন্ধ থাকায় মিসু সরাসরি আমায় দিতে পারেনি। বাবা-ভাইদের ভয়ে সে বাসায় আসেনি। তাই বন্ধু মাসুদের মাধ্যমে চিঠি আর গোলাপ পাঠায়। অবাক হয়ে চিঠিটি পড়ে দেখলাম এটা তার ভালোবাসা পাঠিয়েছে।

_, নানি আমি এখনো পুরো ডাক্তার হইনি । আমি এখন হাফ ডাক্তার, কয়েক দিন পরে ফুল ডাক্তার হব। তখন আপনার চিকিৎসা আমি করব ইনশাআল্লাহ। কথা শুনে নানী হেসে ওনাকে জড়িয়ে ধরলেন।

আরে নাহ, আন্টি তেমন কোনো ব্যাপার না। আসলে আমার একটু জরুরী কাজ পরে গেছে তো তাই ‘তাড়াহুড়ার মধ্য দিয়ে যেতে গিয়ে হঠাৎ চক্ষে একটা পোকা পড়ে যায়। আর তার জন্যই চক্ষু দিয়ে হালকা পানি পরছে। ওসব কোনো ব্যাপার না। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে। আচ্ছা আন্টি আমি এখন চলি আমার একটু তারাআছে।

”শিউলি উত্তর করলো,”সে রসমালাই খায়”। মুরাদ ভাই “ও আচ্ছা “বলে চলে গেল। 

বড় খালা দরজার বাইরে মুখ বের করে তাকে ডাকলেন।

“নতুন স্কুল লাইফের শুরু মানেই নতুন সূচনা, নতুন অ্যাডভেঞ্চার, নতুন বন্ধুত্ব এবং নতুন চ্যালেঞ্জ।” – ডেনিস উইটমার

সে নানীর পাশ থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বলল, “ঠিক আছে । আমি হাত মুখ ধুয়ে কিছু খেয়ে নিচ্ছি আর ততক্ষণ আপনি বিশ্রাম নেন আবার এসে আমি দেখে যাব”। সে দরজার কাছে এগিয়ে গিয়ে ঠিক বাইরে বের হওয়ার আগ মুহূর্তে ঘাড় বেঁকিয়ে আরেকবার তার সেই তীব্র দৃষ্টিতে আমাকে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিয়ে বেরিয়ে গেল।

1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15

Comments on “The Single Best Strategy To Use For ব্যর্থ প্রেমের গল্প”

Leave a Reply

Gravatar